মঙ্গলবার , ১৭ জুন ২০২৫ | ২৪শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অর্থনীতি
  3. আইন আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. কৃষি ও প্রকৃতি
  6. ক্যাম্পাস
  7. ক্রিকেট
  8. খেলাধুলা
  9. গণমাধ্যম
  10. জাতীয়
  11. জেলার খবর
  12. ডাকসু নির্বাচন
  13. তথ্যপ্রযুক্তি
  14. দেশজুড়ে
  15. ধর্ম

মারা গেছেন পাঁচ রাজাকারকে কুপিয়ে হত্যা করা মুক্তিযোদ্ধা সখিনা বেগম।

প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিনিধি
জুন ১৭, ২০২৫ ৭:৪৮ পূর্বাহ্ণ

মারা গেছেন পাঁচ রাজাকারকে কুপিয়ে হত্যা করা মুক্তিযোদ্ধা সখিনা বেগম।

নিজস্ব প্রতিবেদক:

কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলার নারী মুক্তিযোদ্ধা সখিনা বেগম (৯৩) মারা গেছেন। মঙ্গলবার (১৭ জুন) ভোরে বাজিতপুর উপজেলার হিলচিয়া ইউনিয়নের বড়মাইপাড়া গ্রামে তিনি মারা যান। মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হিলচিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাজহারুল হক নাহিদ।

জানা যায়, কিশোরগঞ্জের হাওর অধ্যুষিত নিকলী উপজেলার গুরুই গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন সখিনা বেগম। তার বাবার নাম সোনাফর মিয়া এবং মায়ের নাম দুঃখী বিবি। সখিনা নিঃসন্তান। মুক্তিযুদ্ধের আগেই মারা যান স্বামী কিতাব আলী। নিকলীতে সখিনাকে দেখভাল করার কেউ না থাকায় তিনি বাজিতপুর উপজেলার হিলচিয়ার বড়মাইপাড়া গ্রামে ভাগ্নি ফাইরুন্নেছা আক্তারের কাছে থাকতেন। সেখানেই মঙ্গলবার ভোরে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

হিলচিয়া ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি নিয়াজ মামনুন রহমান পুটন জানান, সখিনা বেগম বড়মাইপাড়া গ্রামে প্রায় ৪০ বছর যাবত বসবাস করে আসছেন। মঙ্গলবার ভোর ৫টার সময় তিনি বার্ধক্যজনিত কারণে মারা যান। আমাদের বাড়ির পাশে তার বসবাস থাকায় ছোটকাল থেকেই আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বলতেন। তিনি খেতাব প্রাপ্ত একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা।

নিকলী উপজেলার গুরুই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ তোতা মিয়া বলেন, গুরুই গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা সখিনা বেগমকে দেখভাল করার জন্য কেউ না থাকায় তিনি বাজিতপুর হিলচিয়া ভাগ্নির কাছে থাকতেন। সেখানে মারা গেছেন। মঙ্গলবার (১৭ জুন) আসর নামাজ বাদ গুরুই ঈদগাহ মাঠে জানাজা শেষে সখিনা বেগমের গ্রামে শাহী মসজিদের পাশে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।

উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে সখিনা বেগম নেমে পড়েন সশস্র যুদ্ধে। মুক্তিযুদ্ধে সখিনা বেগমের ভাগ্নে মতিউর রহমান সম্মুখযুদ্ধে অংশ নিয়ে হানাদার পাকিস্তানি সেনা ও রাজাকারদের হাতে শহীদ হোন। ভাগ্নের অকালমৃত্যু সখিনাকে প্রতিশোধপরায়ণ করে তোলে। মুক্তিযুদ্ধের সময় সখিনা বেগম গুরুই এলাকায় বসু বাহিনীর নেতৃত্বাধীন মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্পে রাঁধুনির কাজ করতেন। কাজের ফাঁকে রাজাকারদের গতিবিধির বিভিন্ন খবর সংগ্রহ করে মুক্তিযোদ্ধাদের জানাতেন। একপর্যায়ে তিনি পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে ধরা পড়েন। পরে কৌশলে সেখান থেকে পালিয়ে আসেন। আসার সময় সেখান থেকে নিয়ে আসেন একটি ধারালো দা। পরে সেই দা দিয়েই নিকলীর পাঁচ রাজাকারকে কুপিয়ে হত্যা করেন। সখিনা বেগমের ওই দা বর্তমানে ঢাকায় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে সংরক্ষিত আছে।

সর্বশেষ - অন্যান্য

আপনার জন্য নির্বাচিত

নালিতাবাড়ীতে ভ্রাম্যমান আদালতে মাদক কারবারিকে ৩ মাসের কারাদন্ড ও জরিমানা।

ইউএনও ফারজানা আক্তার ববি অসহায় পরিবারকে টিউবওয়েল স্থাপন করে দিলেন

নালিতাবাড়ীতে ভিপি নূরের উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল

নালিতাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স রোগীদের আলো ছাড়াই কাটাতে হচ্ছে রাতের পর রাত

নির্বাচন নয়, নেতৃত্বে চাই ড. ইউনূস: সাধারণ মানুষের অভিমত

নালিতাবাড়ীতে কারেন্ট জালের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট: ২ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা, বিপুল জাল জব্দ

নালিতাবাড়ীতে প্রতারণার ফাঁদে ডিভোর্স, নিঃস্ব শ্বশুর-শাশুড়ি

ফুলবাড়ীতে আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক গ্রেপ্তার ।

নির্দোষদের হয়রানি বন্ধ করুন’—চরবিশ্বনাথপুরে এলাকাবাসীর মানববন্ধন

দেশবাসীকে আন্দোলনের প্রস্তুতির আহ্বান জামায়াত সেক্রেটারির