২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিতব্য ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ২৪টি গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রমকে প্রাধান্য দিয়ে রোডম্যাপ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ২৮ আগস্ট, বৃহস্পতিবার দুপুরে কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ আনুষ্ঠানিকভাবে এ রোডম্যাপ প্রকাশ করেন।
রোডম্যাপ অনুযায়ী, চলতি বছরের ডিসেম্বরের প্রথম ভাগে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। তবে ভোটগ্রহণের নির্দিষ্ট তারিখ এখনো নির্ধারণ করা হয়নি। ইসি জানিয়েছে, নির্বাচনের আগে এবং পরে ২০৭ ধাপে এসব কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে।
প্রধান প্রধান কার্যক্রম:
১. অংশীজনদের সংলাপ:
সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ, সাংবাদিকসহ আট শ্রেণির অংশীজনের সঙ্গে সংলাপ শুরু হবে। এই সংলাপ চলবে নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত।
২. ভোটার তালিকা চূড়ান্তকরণ:
দ্বিতীয় ধাপের খসড়া তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। ৩১ আগস্ট চূড়ান্ত করা হবে এ তালিকা। এরপর ১ নভেম্বর চূড়ান্ত খসড়া এবং ৩০ নভেম্বর পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করবে ইসি।
৩. নির্বাচনি আইন ও বিধিমালা হালনাগাদ:
নানান আইনি সংস্কারের প্রস্তাব প্রণয়ন এবং সংশোধন কার্যক্রম চলবে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত। কিছু আইনের সংশোধন কার্যক্রম চলছে আইন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয়ে, যা ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন করার আশা করা হচ্ছে।
৪. রাজনৈতিক দল নিবন্ধন:
নতুন রাজনৈতিক দলগুলোর মাঠ পর্যায়ের তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সময়সীমা ৩১ আগস্ট। এরপর ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নিবন্ধনের বিষয়টি চূড়ান্ত করবে ইসি।
৫. আসন পুনঃসীমানা নির্ধারণ:
১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সংসদীয় আসনের নতুন সীমানা চূড়ান্ত করে গেজেট প্রকাশ এবং ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে জিআইএস ম্যাপ প্রকাশ করা হবে।
৬. দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিকদের নীতিমালা:
১৫ নভেম্বরের মধ্যে দেশীয় পর্যবেক্ষক নিবন্ধন সম্পন্ন এবং বিদেশি পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিকদের অনুমতি কার্যক্রম শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে।
৭. নির্বাচনি সরঞ্জাম ও বাজেট:
পোস্টার, নির্দেশিকা, ব্যালট বাক্স, নির্বাচনি সামগ্রী সংগ্রহ ও বিতরণসহ যাবতীয় প্রস্তুতি ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করা হবে। বাজেট চূড়ান্ত হবে ১৫ নভেম্বরের মধ্যে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য অর্থ বরাদ্দ সংক্রান্ত বৈঠক হবে ১৬-২০ নভেম্বর।
৮. প্রশিক্ষণ ও জনবল:
ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্যানেল তৈরি হবে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে। মাঠ প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চলবে ২৯ আগস্ট থেকে ভোটের সপ্তাহ পর্যন্ত।
৯. প্রচার ও সচেতনতা কার্যক্রম:
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, বিটিআরসি, মোবাইল অপারেটরসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক হবে ১৫ নভেম্বরের মধ্যে। সচেতনতামূলক প্রচার অভিযান ৩০ নভেম্বরের মধ্যে শেষ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
১০. পোস্টাল ব্যালট:
প্রবাসী ভোটারদের জন্য পোস্টাল ব্যালট ব্যবস্থার কাজ ২০২৬ সালের জানুয়ারির মধ্যে সম্পন্ন করা হবে।