তানিম আহমেদ, নালিতাবাড়ী (শেরপুর) প্রতিনিধি
শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে আলোচিত স্কুলছাত্রী মায়মুনা (১৩) হত্যার ঘটনায় তাঁর আপন ফুফা ছাইদুল ইসলামকে (৩৯) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে তিনি হত্যার দায় স্বীকার করেছেন।
পুলিশ জানায়, পারিবারিকভাবে “ঘর জামাই” বলে উপহাস করায় ক্ষুব্ধ হয়ে ছাইদুল মায়মুনাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। শুক্রবার (২৯ আগস্ট) বিকেলে আদালতে তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার (২৩) আগস্ট বিকেলে সহপাঠীদের সঙ্গে বাড়ির পাশের মাঠে খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয়। দীর্ঘ খোঁজাখুঁজির পর তাকে না পেয়ে তার পরিবার রবিবার নালিতাবাড়ী থানায় একটি মামলা করে।
নিখোঁজের তিন দিন পর (২৬ আগস্ট)বিকেল ৪টার দিকে মাইমুনার কাকা আলী হোসেন বাড়ির পাশের একটি ডোবা থেকে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়রা কচুরিপানার নিচে তাঁর মরদেহ দেখতে পান। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে শেরপুর জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এ সময় মায়মুনার গলায় ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় পাওয়া যায়।
এ ঘটনায় মায়মুনার বাবা মফিজুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তে নেমে পুলিশ ঢাকার খিলগাঁওয়ের তিলপাপাড়া এলাকা থেকে ২৭ আগস্ট ছাইদুল ইসলামকে গ্রেফতার করে।
নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা জানান, গ্রেফতারকৃত ছাইদুল আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন এবং তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।