বগুড়া নামটি এসেছে মুসলিম শাসক নাসিরউদ্দিন বোগরা খান–এর নাম থেকে। তিনি ছিলেন দিল্লির সুলতান গিয়াসউদ্দিন বললন এর পুত্র এবং বাংলা অঞ্চলের শাসনকর্তা। ধারণা করা হয়, তার নাম অনুসারে এই অঞ্চলের নাম হয় “বোগরা”, যা পরবর্তীতে বাংলায় রূপান্তর হয়ে “বগুড়া” হয়।
— মোঃ গোলাম রব্বানী আহাদ—
🗺️ ১২টি উপজেলার নামকরণের ইতিহাস:
- বগুড়া সদর
এটি জেলার মূল প্রশাসনিক এলাকা।
“সদর” শব্দের অর্থ কেন্দ্র বা প্রশাসনিক মূল এলাকা।
- শাজাহানপুর
মোঘল সম্রাট শাহজাহান-এর নামে নামকরণ করা হয়েছে বলে মনে করা হয়।
অথবা স্থানীয় কোনো জমিদার বা প্রশাসনিক ব্যক্তির নামের ভিত্তিতেও হতে পারে।
- শেরপুর
“শের” মানে বাঘ বা সিংহ।
ধারণা করা হয় এটি শের শাহ সূরির সাময়িক অবস্থানস্থল ছিল।
“পুর” মানে শহর — অর্থাৎ “শেরের শহর”।
- শিবগঞ্জ
“শিব” হিন্দু দেবতা এবং “গঞ্জ” মানে বাজার বা শহর।
অর্থাৎ শিব দেবতার নামে প্রতিষ্ঠিত বাজার বা জনপদ।
- সোনাতলা
“সোনা” মানে স্বর্ণ এবং “তলা” মানে নিচু বা সমতল এলাকা।
প্রচলিত মতে, এখানে সোনার মতো উর্বর জমি ছিল বা সোনার সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল এমন বিশ্বাস ছিল।
- গাবতলী
“গাব” (এক ধরনের ফল) এবং “তলী” মানে নিচু ভূমি।
এই এলাকায় প্রচুর গাব গাছ ছিল, তাই এই নামকরণ।
- দুপচাঁচিয়া
এই নামটি এসেছে “দু” (দুই) এবং “চাঁচিয়া” (স্থানীয় নদী বা প্রবাহের নাম) থেকে।
অর্থাৎ দুইটি প্রবাহ বা চাঁচিয়া নদীর সংযোগস্থল।
- আদমদীঘি
“আদম” নামের কোনো প্রাচীন ব্যক্তি বা নেতা এবং “দীঘি” মানে পুকুর বা জলাধার।
আদম নামে এক ব্যক্তি এখানে বিশাল দীঘি খনন করেন — সেই থেকে এই নাম।
- কাহালু
এই নামের উৎপত্তি সম্পর্কে একাধিক মত রয়েছে।
একটি মত বলে “কাহাল” নামক একটি উপজাতি গোষ্ঠী বা নেতার নাম থেকেই এসেছে।
- ধুনট
“ধুনা” (ধূপ বা আগরবাতি পোড়ানো) + “ট” হতে পারে।
অথবা স্থানীয় কোনো লোকশ্রুতি অনুসারে এটি নদীর নামে বা কোনো ব্যক্তি থেকে এসেছে।
- সারিয়াকান্দি
এটি যমুনা নদী তীরবর্তী একটি এলাকা।
“কান্দি” মানে ছোট গ্রাম বা বসতি।
সারিয়া (নদী বা অঞ্চলবিশেষ) + কান্দি → সারিয়াকান্দি।
- নন্দীগ্রাম
“নন্দী” শব্দটি হিন্দু ধর্মের একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র — শিবের বাহন।
“গ্রাম” মানে গ্রাম বা বসতি।
নন্দীকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠা গ্রাম — নন্দীগ্রাম।
মোঃ গোলাম রব্বানী আহাদ
উপজেলা প্রতিনিধি,সোনাতলা।
তথ্য সংগ্রহেঃ সোনাতলা উপজেলা