তানিম আহমেদ নালিতাবাড়ী শেরপুর প্রতিনিধি
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে শেরপুর-২ (নকলা-নালিতাবাড়ী) আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে ব্যাপক আলোচনায় রয়েছেন মো. আবু সুফিয়ান। তিনি বিএনপির কেন্দ্রীয় অঙ্গসংগঠন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সহ-সভাপতি এবং শেরপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালেই আবু সুফিয়ানের রাজনৈতিক যাত্রা শুরু। দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠের মেধাবী এই ছাত্র রাজনীতির দুঃসময়ে ছিলেন রাজপথের সাহসী সৈনিক। তিনি মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের জয়েন্ট সেক্রেটারি এবং পরিশেষে সহ-সভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করেন।
রাজনৈতিক জীবনে বারবার গ্রেফতার ও কারাবরণ করেও তিনি আন্দোলনের ময়দান থেকে সরে আসেননি। ফ্যাসিস্ট সরকারের দমন-পীড়নের মধ্যেও ছিলেন আপসহীন। রাজপথের দীর্ঘ লড়াই ও ত্যাগের স্বীকৃতি হিসেবেই তিনি বর্তমানে শেরপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য।
দলীয় দুঃসময়ে তিনি সবসময় নেতাকর্মীদের পাশে থেকেছেন— আইনি সহায়তা, আর্থিক সহযোগিতা কিংবা ব্যক্তিগত সমর্থন— প্রতিটি ক্ষেত্রেই ছিলেন নির্ভরযোগ্য নেতৃত্ব। পাশাপাশি এলাকার সাধারণ মানুষের সুখ-দুঃখেও তিনি সবসময় পাশে আছেন। ঈদ, পূজা কিংবা সামাজিক অনুষ্ঠানে তাঁর সক্রিয় অংশগ্রহণ এবং বন্যাসহ বিভিন্ন দুর্যোগে মানবিক সহযোগিতা তাঁকে করে তুলেছে জনবান্ধব নেতা।
তরুণ প্রজন্মের কাছে তিনি এক অনুপ্রেরণার নাম। শিক্ষিত, ক্লিন ইমেজের রাজনীতিক হিসেবে আবু সুফিয়ান এখন নকলা-নালিতাবাড়ীর জনগণের আস্থার প্রতীক। তাঁর শ্রুতিমধুর বক্তৃতা, বিনয়ী ব্যবহার ও আন্তরিক মনোভাব ইতোমধ্যেই তাকে স্থানীয় রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে এসেছে।
এলাকার রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও ভোটারদের মতে, যদি আবু সুফিয়ানকে ধানের শীষ প্রতীক প্রদান করা হয়, তাহলে তা তৃণমূল বিএনপিকে আরও শক্তিশালী করবে। কারণ তিনি অর্থ ও পেশিশক্তির বাইরে থেকে রাজনীতিকে জনগণের হাতে ফিরিয়ে দেওয়ার প্রতীক।
দুঃসময়ের পরীক্ষিত নেতৃত্ব, শিক্ষিত তরুণ প্রজন্মের মুখপাত্র এবং নকলা-নালিতাবাড়ীর জনপ্রিয় মুখ— সব মিলিয়ে শেরপুর-২ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে আবু সুফিয়ান নিঃসন্দেহে অন্যতম যোগ্য ও আলোচিত প্রার্থী।