রবিবার , ২০ জুলাই ২০২৫ | ২৪শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অর্থনীতি
  3. আইন আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. কৃষি ও প্রকৃতি
  6. ক্যাম্পাস
  7. ক্রিকেট
  8. খেলাধুলা
  9. গণমাধ্যম
  10. জাতীয়
  11. জেলার খবর
  12. ডাকসু নির্বাচন
  13. তথ্যপ্রযুক্তি
  14. দেশজুড়ে
  15. ধর্ম

অসহায় দুই বৃদ্ধার ঘর নেই, মানবেতর জীবন কাটছে বৃষ্টির পানি আর দুঃখ সঙ্গী করে।

প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিনিধি
জুলাই ২০, ২০২৫ ৬:৩৯ পূর্বাহ্ণ

তামিম আহমেদ, নালিতাবাড়ী (শেরপুর) প্রতিনিধি

“ছবি তুল্লে কী অইবো? বৃষ্টি আইলেই তো ঘরের ভিতরে পানি পড়ে। কত কষ্টে আছি, কেউ দেখে না!”—হাউমাউ করে কাঁদতে কাঁদতে এমন কথাগুলো বলছিলেন শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার নালিতাবাড়ী ইউনিয়নের জয়নুদ্দিনপাড়া গ্রামের বিধবা আবেদা খাতুন।

অশ্রুসজল চোখে একখানা মাথা গোঁজার ঠাঁই চেয়ে তিনি আরও বলেন, একটা ঘর পাইলেই শেষ বয়সটা কয়ডা দিন শান্তিতে থাকতাম, মরার আগে শান্তি পাইতাম।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চার মেয়ে ও এক ছেলেকে নিয়ে একসময় ছিল আবেদার সংসার। সকলকেই বিয়ে দিয়েছেন তিনি। একমাত্র ছেলের সংসার চলছে চরম সংকটের মধ্যে—স্ত্রী ও চার সন্তান নিয়ে তার জীবনও টানাপোড়েনে। ছেলে মাটি কাটার কাজ করে কোনো রকমে সংসার চালান। বৃদ্ধা মায়ের জন্য ভাতের খরচ জোগালেও ঘর করে দেওয়ার সামর্থ্য তার নেই।

গত বুধবার সরেজমিনে আবেদার বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, একটুকরো কম্বলে মোড়ানো ভাঙাচোরা ঝুপড়িঘর, যেখানে বসবাস করছেন এই বৃদ্ধা। সামান্য বৃষ্টিতেই ঘরের ভিতর পানি জমে কাঁদা হয়ে যায়। আর অতিবৃষ্টি হলে সেখানে থাকা যায় না মোটেও।
স্থানীয়রা জানান, আবেদা খাতুন একজন সত্যিকারের অসহায় মানুষ। নতুন ঘর নির্মাণের কোনও সামর্থ্য তার নেই। একটি বাসযোগ্য ঘর পেলে তার কষ্ট কিছুটা হলেও লাঘব হতো বলে মনে করেন প্রতিবেশীরা।

আবেদা খাতুনের মতোই মানবেতর জীবন পার করছেন একই ইউনিয়নের পূর্ব গেরাপচা গ্রামের শয্যাশায়ী বৃদ্ধা শহর ভানু। বুধবার তাঁর বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, ছোট্ট একটি জরাজীর্ণ কুঁড়েঘরে বিছানায় পড়ে আছেন তিনি। সেই ঘরের ছাউনি ভাঙাচোরা, টিনে ধরে গেছে জং। যেন আর ভাঙারও কিছু অবশিষ্ট নেই। তার চাহনিতে ফুটে উঠছিল একটি ঘরের জন্য অসহায় আকুতি।

স্থানীয় সূত্র জানায়, শহর ভানুর দুই ছেলে ও দুই মেয়ে। একজন ছেলে দিনমজুর, অপরজন বাজারে বাজারে ভিক্ষা করে। মেয়ে দু’জনের বিয়ে হয়েছে। দিনমজুর ছেলের রোজগারেই কোনোরকমে খাওয়া-পরার ব্যবস্থা হয়, কিন্তু ঘর তৈরির মতো সামর্থ্য একেবারেই নেই।

এই দুই পরিবারে বেঁচে থাকার লড়াই যেন শুধুই বৃষ্টি ঠেকিয়ে টিকে থাকার সংগ্রাম। এলাকাবাসীর দাবি, এই অসহায়দের জন্য সরকারিভাবে জরুরি ভিত্তিতে ঘরের ব্যবস্থা করা হোক।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারজানা আক্তার ববি সাংবাদিক দের বলেন,”বৃদ্ধা আবেদা খাতুন ও শহর ভানুর বিষয়টি আমরা খোঁজ নিয়ে দেখবো এবং যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সর্বশেষ - অন্যান্য

আপনার জন্য নির্বাচিত

ড্রাগন মার্শাল আর্ট এর শুভ শুভ উদ্বোধন হচ্ছে চৌদ্দশত কিশোরগঞ্জে।

ভবানীপুর রাস্তার সংস্কার কাজ পরিদর্শনে আসিফ মাহমুদ সজিব ভূঁইয়া, তত্ত্বাবধানে অ্যাডভোকেট ওবায়দুল

নালিতাবাড়ীতে রামচন্দ্রকুড়া ইউনিয়নের ছাত্রদলের সভাপতি ইয়াবাসহ আটক

মুরাদনগরের সুরানন্দীতে অবৈধ ড্রেজিংয়ের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্টের অভিযান।

শেরপুরে ডা. সানসিলা জেবরিন প্রিয়াঙ্কা সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা

বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় কিশোরগঞ্জে দোয়া ও কম্বল বিতরণ করলেন হাজী ইসরাইল মিয়া।

নালিতাবাড়ীতে বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক বক্তব্যের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সম্মেলন ঘিরে নেতাকর্মীদের মাঝে উৎসাহ-উদ্দীপনা

নালিতাবাড়ীতে আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস উদ্যাপন

কিশোরগঞ্জ সদর নগুয়া এলাকায় এক রহস্যজনক মৃত্যু ।